আমরা চতুর্থ শ্রেণিতে অধিক জনসংখ্যার বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জেনেছি। অধিক জনসংখ্যার ফলে খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের চাহিদা পুরণে পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কয়েক বছর আগেও আমরা সকলের জন্য খাদ্য উৎপাদন করতে পারতাম না। প্রায় ২৫ লক্ষ টন খাদ্য আমদানি করতে হতো। বর্তমানে আমরা সকলের জন্য খাদ্য উৎপাদন করতে সক্ষম। তবে অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য বসতি স্থাপনের কারণে কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হতে হবে, তা না হলে ভবিষ্যতে আবার খাদ্য ঘাটতি দেখা দিবে এবং খাদ্য আমদানি করতে হবে।
মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পরিধেয় বস্ত্র। পরিবারের লোকসংখ্যা বেশি হলে বাবা-মা অনেক সময় সব সন্তানের প্রয়োজনীয় পোশাক কিনে দিতে পারেন না। উপযুক্ত পোশাক না থাকায় অনেক শিশু বিদ্যালয়ে আসতে চায় না ।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ গৃহহীন। প্রতিবছর প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ মোট জনসংখ্যার সাথে যুক্ত হচ্ছে। সকলের জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করা সরকারের জন্য অনেক কঠিন। তাই নিরাপত্তা আর কাজের খোঁজে এই সব গৃহহীন মানুষ শহরে চলে আসছে।
উপরের চিত্রে দেখা যাচ্ছে শহরে আসা ছিন্নমূল মানুষেরা মানবেতর অবস্থায় বসবাস করছে।
শিক্ষকের সহায়তায় খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের উপর অধিক জনসংখ্যার প্রভাব আলোচনা কর।
চতুর্থ অধ্যায়টি দেখ। সেখান থেকে আমরা আমদানি করি এমন তিনটি খাদ্যের নাম নিচের ছকে দেখ। আমরা সেই খাদ্যগুলো কী পরিমাণে আমদানি করি তাও উল্লেখ কর।
আমদানি করা খাদ্য | আমদানির পরিমাণ |
---|---|
শহরের গৃহহীন শিশুদের জীবনের একটি দিন কল্পনা কর। তাদের কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা আলোচনা কর।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দাও।
বাংলাদেশে প্রতিবছর কতজন শিশু জন্মগ্রহণ করে?
ক) ১০ লক্ষ খ) ১২ লক্ষ গ) ২৫ লক্ষ ঘ) ৩০ লক্ষ
আরও দেখুন...